মিয়ানমার-ঘুমধুমের ৩৪-৩৫ সীমান্ত পিলার এলাকায় মিয়ানমার থেকে আরাকান আর্মির গুলিতে দুই চোরাকারবারী আহত হয়েছে। শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে শূন্যরেখা সীমান্ত সংলগ্ন ঘুমধুম-কক্সবাজার সীমানা ঘেষা ভাজাবুনিয়া গ্রামের চিতারখূমে এই ঘটনা ঘটে।

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি)-এর অধীনস্থ তুমব্রু বিওপির সীমান্ত পিলার-৩৪ ও ৩৫-এর মধ্যবর্তী স্থানের শূণ্য লাইন থেকে আনুমানিক ২০০ মিটার পূর্বে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আরাকান আর্মির দখলকৃত কবরস্থান পোস্ট থেকে সাত-আট রাউন্ড ক্ষুদ্রাস্ত্র ফায়ার করা হয়।

গুলিতে আহতরা হলেন, ঘুমধুম ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর (২০), এবং ভাজাবুনিয়া গ্রামের রোহিঙ্গা মো. হোসাইন (২৭)।

গুলিবিদ্ধ জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ জাফর ইকবাল। পুলিশের এই পরিদর্শক (নিরস্ত্র) জানান, 'আহত দুই যুবক বর্তমানে চিকিৎসাধীন। জাহাঙ্গীরের বাম পায়ে দুটি গুলি লেগেছে।

স্থানীয়দের দাবি, যে এলাকায় জাহাঙ্গীর আহত হয়েছেন সেখানে সীমান্ত চোরাকারবারিদের আনাগোনা আছে। অন্যদিকে মিয়ানমার অংশের পুরো সীমান্ত এলাকায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণের কথা জানিয়ে আসছে রাখাইনে জান্তার সঙ্গে লড়াই অব্যাহত রাখা বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মি।

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে থাকা জান্তার অধীনস্থ মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের দুটি বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট দখল করে। এছাড়াও সীমান্তের মিয়ানমার অংশে বিভিন্ন রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীর তৎপরতার তথ্যও পাওয়া যায়।

বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এসকে